সময়ের সাথে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার বিস্তৃতি ও পরিবর্তিত কাঠামোর প্রেক্ষাপটে, এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) ৯ দফা দাবিনামা পেশ করেছে। এসব দাবি উত্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন সমস্যা, বৈষম্য, এবং অনিয়ম দূর করে সেক্টরের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে। আটাবের নেতারা জানান, এসব সমস্যার সমাধান না হলে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।
সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি তারা আহ্বান জানান, যেন দ্রুত তাদের দাবিগুলো বিবেচনা করা হয় এবং একটি সুষ্ঠু ও কার্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়।
আজ শনিবার ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আটাব সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ এই বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আটাব মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ, সহ-সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান হিরো, যুগ্ম মহাসচিব আতিকুর রহমান, উপ-মহাসচিব তোয়াহা চৌধুরী, অর্থ সচিব মোঃ সফিকউল্যাহ নান্টু, আটাব কার্যনির্বাহী পরিষদ ও ঢাকা আঞ্চলিক পরিষদের সদস্যবৃন্দসহ আটাবের প্রবীণ ও নবীন নেতৃবৃন্দ।
আটাবের ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
১) অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (ওটিএ) ব্যবসা পরিচালনার জন্য যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন।
২) এয়ার টিকেটের মজুতদারী ও সিন্ডিকেট বন্ধ করে গ্রুপ টিকেটিংয়ের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রণয়ন।
৩) টিকেটে এজেন্সির নাম, যোগাযোগের ফোন নম্বর এবং টিকেটের মূল্য উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা।
৪) বিদেশী ওয়েবসাইট ও এপিআইগুলোর অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা বন্ধে এবং অর্থ পাচার রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।
৫) তৃতীয় দেশ (যাত্রা ও গন্তব্যের দেশ ব্যতীত) থেকে বিক্রয়কৃত টিকেটের যাত্রীদের বাংলাদেশ বিমানবন্দরে অনবোর্ড হওয়া বন্ধ করা, যাতে এ ধরনের টিকেট বিক্রি ও অর্থ পাচার বন্ধ হয়।
৬) এয়ার টিকেটের নামে অগ্রিম অর্থ সংগ্রহের বিপরীতে ইনসেনটিভ প্রদান বন্ধ করা।
৭) ট্রেডে বৈষম্য রোধে, কোনো ট্রাভেল এজেন্সি যেন এয়ারলাইন্সের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে টিকেট বিক্রি বা বিজ্ঞাপন করতে না পারে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশনা প্রদান।
৮) নিবন্ধনবিহীন ভুয়া এজেন্সির অবৈধ ব্যবসা ও এয়ার টিকেট বা ভ্রমণ সেবা বিক্রি বন্ধের ব্যবস্থা।
৯) লাইসেন্সবিহীন কোনো ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর বা প্রতিষ্ঠানকে ওটিএ প্ল্যাটফর্মে লগইন আইডি প্রদান রোধে নির্দেশনা এবং মনিটরিং।